Saturday, June 7, 2025
Homeপ্রতিরক্ষাচিনের চোখরাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে ভারতের D4 অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম কিনতে চাইছে তাইওয়ান

চিনের চোখরাঙ্গানিকে উপেক্ষা করে ভারতের D4 অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম কিনতে চাইছে তাইওয়ান

-

- Advertisement -
- Advertisement -

চিনের ক্রমবর্ধমান ড্রোন হুমকির প্রেক্ষিতে তাইওয়ান (Taiwan) এবার ভারতের উন্নত এবং যুদ্ধ-পরীক্ষিত D4 Anti-Drone System কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পদক্ষেপ শুধু তাইওয়ানের নিরাপত্তাকে জোরদার করবেই না, বরং Indo-Pacific অঞ্চলে সামরিক কৌশলের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, India‘র Defence Research and Development Organisation (DRDO) দ্বারা তৈরি এবং Bharat Electronics Limited (BEL) এর মাধ্যমে নির্মিত এই D4 System ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাতি অর্জন করেছে। বিশেষত, India-Pakistan সীমান্তে Operation Sindoor-এর সময় এই সিস্টেম Turkish-origin dronesloitering munitions সফলভাবে ধ্বংস করেছিল।

কী আছে D4 সিস্টেমে?

D4 সিস্টেমের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো এর দুইস্তর প্রতিরক্ষা কৌশল

  • একদিকে রয়েছে “Soft Kill” প্রযুক্তি – যেখানে electronic jammingGPS spoofing এর মাধ্যমে ড্রোনের সিগন্যাল বন্ধ করে দেওয়া যায়।
  • আবার অন্যদিকে রয়েছে “Hard Kill” পদ্ধতি – যেখানে laser-based directed energy weapons ব্যবহার করে সরাসরি ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব।

এর modular design থাকায় এটি দ্রুত লঞ্চ করা যায় এবং শহর বা প্রত্যন্ত অঞ্চল উভয় পরিবেশেই কার্যকর। এমনকি Turkish-supplied Bayraktar-TB2 এর মতো জটিল ড্রোন স্কোয়াডও এটি আটকাতে ও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

কেন এই মুহূর্তে Taiwan-এর এই চাহিদা?

চিনের Jiu Tian swarm drone technology বর্তমানে তাইওয়ানের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাইওয়ান প্রতিদিনই চিনা UAV incursions-এর মুখোমুখি হচ্ছে। তাই এ ধরনের শক্তিশালী counter-drone system এখন তাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

D4 System কিনলে শুধু তাইওয়ানের air defence শক্তিশালী হবে না, বরং ভারত ও তাইওয়ানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার নতুন দরজা খুলে যাবে। যদিও চিনের সংবেদনশীল ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য এই সম্পর্ক সবসময়ই সতর্কতার আবহে থাকে।

জানা গিয়েছে, উভয় দেশের technical teams আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে system customization, integrationexport logistics নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। এখনও পর্যন্ত ভারতের Ministry of Defence আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানালেও, সূত্র বলছে preliminary talks ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ভবিষ্যতে joint development এবং ভারতের arms export policy তে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষত, যখন পুরো অঞ্চল চিনের সামরিক আধিপত্যে উদ্বিগ্ন, তখন ভারতের এই প্রযুক্তিগত সাফল্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে।

এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ভারত শুধু anti-drone technology-তে নয়, গোটা Indo-Pacific অঞ্চলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিতে বিশ্বাস যোগ্য নাম হয়ে উঠবে।

- Advertisement -

Related articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Latest posts