Thursday, June 12, 2025
Homeপ্রতিরক্ষাফাঁস হল পাকিস্তানের সাবমেরিনের দুর্বলতা! সমুদ্রসীমায় আধিপত্য ভারতীয় নৌসেনার

ফাঁস হল পাকিস্তানের সাবমেরিনের দুর্বলতা! সমুদ্রসীমায় আধিপত্য ভারতীয় নৌসেনার

-

- Advertisement -
- Advertisement -

২০২৫ সালে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর দক্ষিণ এশিয়ার সামুদ্রিক নিরাপত্তার ইতিহাসে এক মাইলফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাবমেরিন সংক্রান্ত দুর্বলতা সম্পূর্ণরূপে ফাঁস হয়ে গেছে, যেখানে Indian Navy-র আধুনিক ও কৌশলগত ক্ষমতার চূড়ান্ত প্রমাণ মিলেছে আরব মহাসাগরের জলে।

ভারতের বিশাল সমুদ্র অভিযান

অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের নৌসেনা প্রায় ৩৬টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে Karachi Naval Base পুরোপুরি ঘেরাও করে। তুলনায় ১৯৭১ সালে ভারতের মাত্র ৬টি যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার হয়েছিল। এবার অভিযানের কেন্দ্র ছিল INS Vikrant Carrier Battle Group, যার সঙ্গে ছিল ৮-১০টি যুদ্ধজাহাজ।

এই নৌবহরে ছিল:

  • ৭টি Destroyer (BrahMos missile, MRSAM, Varunastra torpedo সহ সজ্জিত)
  • ৭টি Stealth Frigate (নতুন INS Tushil সহ)
  • ৬টি Submarine (জলের নিচে গোপন অভিযান চালায়)

এই অভিযান শুরু হয় জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার প্রতিশোধ নিতে। পাকিস্তানের ওপর ত্রিমাত্রিক চাপ সৃষ্টি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের সাবমেরিন সংকট

March 2025-এর স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানের ৫টি সাবমেরিনের মধ্যে মাত্র ২টি সচল — একটি Agosta-70 Class, আরেকটি Agosta-90B Class। বাকি ৩টি বা তো মেরামত চলছে বা স্থলভাগে পড়ে আছে।

  • Agosta-70 (PNS Hashmat, PNS Hurmat): প্রায় ৪৫ বছরের পুরনো, ইঞ্জিন ও ইলেকট্রনিক সমস্যা।
  • Agosta-90B (PNS Khalid, PNS Saad, PNS Hamza): Turkey’s STM সংস্থার মাধ্যমে ডেভেলপমেন্ট চলছে, কিন্তু দেরি হচ্ছে।

PNS Hamza ২০২০ সালে আপগ্রেড হলেও PNS Khalid-এর কাজ শেষ হয় ২০২৩-এ। PNS Saad এখনও অকেজো অবস্থায়। আর পাকিস্তানের MESMA AIP System রক্ষণাবেক্ষণে বিশাল খরচ ও বিদেশনির্ভরতা আরও সংকট বাড়িয়েছে।

পারমাণবিক প্রতিরোধে সন্দেহ

পাকিস্তান দাবি করে, তার Babur-3 সাবমেরিন থেকে লঞ্চ যোগ্য ক্রুজ মিসাইল ৪৫০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মাত্র ২৫০ কিমি পর্যন্ত কার্যকর – যা ভারতের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার পক্ষে যথেষ্ট নয়। এর ফলে পাকিস্তানের Second-Strike Nuclear Deterrence-এ আস্থা কমেছে।

অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও প্রযুক্তিগত ঘাটতি

পাকিস্তানের সাবমেরিন সংকটের অন্যতম কারণ চরম আর্থিক দুর্বলতাKarachi Shipyard-এ কাজ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। Foreign Exchange Shortage এবং Debt Burden এর মূল কারণ।

পাশাপাশি সাবমেরিন প্রযুক্তিতে নিজস্ব উন্নয়ন না থাকায় বিদেশি প্রযুক্তি ও রক্ষণাবেক্ষণের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরতা পাকিস্তানকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে। ভবিষ্যতের Hangor-class submarine প্রজেক্টে Technology Transfer থাকলেও তার জন্য প্রয়োজন স্থায়ী বিনিয়োগ ও দক্ষ মানবসম্পদ — যা পাকিস্তানের পক্ষে এখন সম্ভব নয়।

অপারেশন সিঁদুর কেবল পাকিস্তানের সাবমেরিন দুর্বলতাই নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র-ক্ষমতার সমীকরণকেই বদলে দিয়েছে। ভারতের আধুনিক নৌক্ষমতা ও দূরপাল্লার অভিযানের সক্ষমতা এক নতুন বার্তা দিয়েছে Indo-Pacific অঞ্চলে — ভারত এখন সত্যিই Blue-Water Navy

- Advertisement -

Related articles

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Latest posts