কল্পনা করুন, দিল্লি থেকে মুম্বাই যেতে মাত্র 90 মিনিট! বা লন্ডন থেকে প্যারিস পৌঁছে যাওয়া 30 মিনিটে! শুনতে অবাক লাগলেও, ভারত এই স্বপ্নকে সত্যি করতে চলেছে তার হাইপারলুপ প্রকল্পের মাধ্যমে। একটি 422 মিটার টেস্ট ট্র্যাক ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে, আর এখন পরিকল্পনা চলছে প্রায় 50 কিলোমিটারের একটি বড় ট্র্যাকের। ভারত এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই হাইপারলুপ আসলে কী? আর এটা কীভাবে আমাদের ভ্রমণের ধরন বদলে দেবে? চলুন, জেনে নিই।
হাইপারলুপ–কে বলা হচ্ছে ভ্রমণের “পঞ্চম উপায়”। এটি এমন একটি ট্রেন, যা আমাদের চেনা ট্রেন বা প্লেনের থেকে একদম আলাদা। ভাবুন, একটি ছোট ক্যাপসুলের মতো গাড়ি, যার ভেতরে যাত্রীরা বসে আছে। এটি চলবে ভ্যাকুয়াম টিউবের মধ্যে, চুম্বকের শক্তিতে ভেসে থেকে। ঘর্ষণ আর বাতাসের বাধা না থাকায় এটি ঘণ্টায় 1,100 কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে। অর্থাৎ, এত দ্রুত যে দূরের শহরগুলো কাছে চলে আসবে!
হাইপারলুপ আমাদের জীবনে অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। যেমন:
এই ট্রেন ভ্রমণের সময়কে যেন জাদুমন্ত্রে বদলে দেবে। যেমন:
হাইপারলোপের ধারণাটা একদম নতুন নয়। 1799 সালে জর্জ মেডহার্স্ট প্রথম বলেছিলেন, টিউবে বাতাসের চাপে জিনিসপত্র পাঠানো যায়। 1970-এর দশকে সুইস প্রফেসর মার্সেল জুফের এটি নিয়ে আরও ভেবেছিলেন। কিন্তু 2013 সালে ইলন মাস্ক (Elon Mask) এই স্বপ্নকে নতুন করে জাগিয়ে তুললেন। এখন ভারত সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে এগিয়ে চলেছে।
ভারত সরকার এই প্রকল্পে পুরোদমে জড়িয়ে পড়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আইআইটি মাদ্রাসের (IIT Madras) সঙ্গে মিলে এটি তৈরি হচ্ছে। রেল মন্ত্রণালয় এর জন্য টাকা দিচ্ছে, আর মন্ত্রী আরও 10 লাখ ডলারের অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। 2024-এর ডিসেম্বরে একটি 422 মিটার টেস্ট ট্র্যাক তৈরি হয়েছে। এখন পরিকল্পনা চলছে 50 কিলোমিটারের একটি বড় ট্র্যাকের, যা দেখবে এই প্রযুক্তি ব্যবসায়িকভাবে কতটা কাজের।
ভারত একা নয়, অনেক দেশের সঙ্গে মিলে এই প্রকল্প এগোচ্ছে। আইআইটি মাদ্রাসে তৈরি ‘টুডা সুইস আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ টর হাইপারলুপ‘ সুইস ও ভারত সরকারের সমর্থন পেয়েছে। এছাড়া নেদারল্যান্ডস, চিন, কানাডা ও আমেরিকাও হাইপারলুপ নিয়ে কাজ করছে। তবে ভারত এই দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চায়।
হাইপারলুপ শুধু একটি ট্রেন নয়, এটি ভ্রমণের ভবিষ্যৎ। সরকার, বিশেষজ্ঞ আর বিশ্বের সঙ্গে মিলে ভারত এই প্রযুক্তিকে নিয়ে আসছে আমাদের দরজায়। পরিবেশের কথা ভেবে, দ্রুত আর নিরাপদ ভ্রমণের জন্য এটি হতে পারে বড় উত্তর। হাইপারলুপ কি সত্যিই আমাদের জীবন বদলে দেবে? সময়ই বলবে, তবে এই যাত্রা শুরু হয়ে গেছে—আর ভারত এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে!
রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীরতর হতে চলেছে। Russia-র রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা…
প্লাস্টিক দূষণে গোটা বিশ্ব যখন চিন্তিত, তখন জাপান থেকে এল এক চমকপ্রদ খবর। RIKEN Center…
ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য আসতে চলেছে এক ঐতিহাসিক দিন। আগামী ১৮ জুন, বিশাখাপত্তনমের Naval Dockyard-এ আনুষ্ঠানিকভাবে…
বাজারে বাজেট ফোনের চাহিদা যতই বাড়ছে, ঠিক ততই জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো চেষ্টা করছে কম দামে ভালো…
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে Artificial Intelligence (AI) ও ChatGPT আমাদের জীবন অনেকটাই সহজ করেছে। কিন্তু সেই…
চিনের ক্রমবর্ধমান ড্রোন হুমকির প্রেক্ষিতে তাইওয়ান (Taiwan) এবার ভারতের উন্নত এবং যুদ্ধ-পরীক্ষিত D4 Anti-Drone System…
This website uses cookies.