আজকের দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং যুদ্ধের আশঙ্কা আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি পহেলগাঁও-এ পাকিস্তান মদতে কয়েকজন সসস্ত্র জঙ্গি ২৬ জন নিরপরাধ মানুষদের নির্মম ভাবে হত্যা করে। এর ফল স্বরূপ ভারতও প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। ভারত এবং পাকিস্তান এর মধ্যে উত্তেজনা চলছে, যার কারণে পরমাণু হামলার মতো ভয়াবহ সম্ভাবনার কথাও উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের জানা দরকার, পরমাণু বোমার হামলা হলে তার রেডিয়েশন থেকে কীভাবে বাঁচা যায়। এই প্রতিবেদনে আমরা সহজ ভাষায় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পরমাণু বোমা পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। এটি শেষবার ব্যবহার হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, যখন আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে এই বোমা ফেলেছিল। হিরোশিমায় বোমা ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রায় ৮০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বিস্ফোরণের ফলে এত তীব্র তাপ সৃষ্টি হয়েছিল যে অনেকে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর যে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়েছিল, তা আরও অনেক মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়। আজও হিরোশিমায় সেই রেডিয়েশন এর প্রভাব দেখা যায়। নাগাসাকিতেও এই হামলায় শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পরমাণু বোমার বিস্ফোরণের চেয়েও তার রেডিয়েশন অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।
পহেলগাঁও-এ একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর ভারত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই হামলার প্রায় ১৫ দিন পর ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor) নামে একটি অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এর ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা করা হয়েছে। এতে জৈশ–এ–মোহাম্মদ এবং লশ্কর–এ–তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের অনেক উগ্রপন্থী নিহত হয়েছে। এই অভিযানের সময় পাকিস্তান বারবার ভারতকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে। তবে ভারত এই হুমকির জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা মিথ্যে হুমকিতে ভয় পায়না।
ভারত এবং পাকিস্তান দুটিই পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশ। তাই যদি কোনো কারণে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং পাকিস্তান পরমাণু বোমা ব্যবহার করে, তাহলে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কিন্তু রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় কী? চলুন জেনে নিই।
পরমাণু বোমার বিস্ফোরণের সময় প্রচণ্ড তাপ এবং পারমানবিক শক্তি নির্গত হয়, কিন্তু এরপর যে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে, তা অনেক বেশি ক্ষতিকর। এই রেডিয়েশন কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি করে। এটি ক্যানসার, ত্বকের রোগ এবং অন্যান্য মারাত্মক অসুখের কারণ হতে পারে। হিরোশিমা ও নাগাসাকির ঘটনায় দেখা গেছে, বিস্ফোরণের চেয়ে রেডিয়েশন এর কারণে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
যদি কোনো দেশ পরমাণু হামলা করে, তাহলে বাঁচার জন্য খুব কম সময় হাতে থাকে। তাই দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় দেওয়া হল:
ভারত ও পাকিস্তান এর মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার। ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর মাধ্যমে ভারত দেখিয়েছে যে, তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তবে যদি কোনো কারণে পরমাণু হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমাদের সাধারণ মানুষেরও নিজেদের বাঁচানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সঠিক জ্ঞান এবং প্রস্তুতি আমাদের এই বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে। তাই এই তথ্যগুলো নিজে জানুন এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার উপর দিয়ে…
ভারতের স্মার্টফোন বাজারে নতুন উত্তেজনা নিয়ে এসেছে OnePlus। iPhone 16e ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। তবে এবার…
অবশেষে সেই প্রতীক্ষিত দিন এল। বহুদিনের অপেক্ষা আর সমালোচনার পর ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) পেতে…
Yamaha – নামটাই যথেষ্ট বাইকপ্রেমীদের হৃদয় কাঁপাতে। আর এবার সেই বিখ্যাত Japanese সংস্থা আনছে এমন…
মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মাত্র চার দিন চলা তীব্র সামরিক সংঘর্ষে ভারতীয় বায়ুসেনা…
ভারতের সবচেয়ে ধনী এবং প্রভাবশালী শিল্পপতিদের নাম উঠলেই সবার আগে মনে পড়ে Mukesh Ambani–র কথা।…
This website uses cookies.