ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র কথা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে চন্দ্রযান, মঙ্গলযান, কিংবা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের খবর। কিন্তু এই সব কিছুর আড়ালেও ISRO চুপিচুপি এমন কিছু উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করছে, যেগুলো শুধু মহাকাশ নয়, ভারতের কৃষি, প্রতিরক্ষা ও সাধারণ মানুষের জীবনেও বিপ্লব এনে দিচ্ছে। আর সেই সব আবিষ্কার গুলি ছিল লোক চক্ষুর আড়ালে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক এমন ১০টি গোপন প্রযুক্তি, যা সত্যিই আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে।
ISRO এমন একটি রকেট ইঞ্জিন তৈরি করেছে, যা বাতাসের অক্সিজেন ব্যবহার করে জ্বালানি তৈরি করে। এতে লিকুইড Hydrogen ও Oxygen ব্যবহার করা হয়, যা বাতাস থেকেই নেওয়া হয়। এর ফলে রকেটের ভিতরে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করতে হয় না—কম খরচে আরও বেশি ওজন মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয়।
এই প্রযুক্তি GSLV Mark 3 রকেটেও ব্যাবহার হয়, যা ভারী উপগ্রহ বহন করতে সক্ষম। মাত্র ₹250 কোটিতে তৈরি এই প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ। যেখানে মার্কিন মুলুকে খরচ হয় প্রায় 14 হাজার কোটি।
ISRO-র RLV-TD এমন একটি রকেট যা রকেটের মতো উড়ে যায়, আর বিমান-এর মতো ফিরে আসে। 2026 সালে প্রথম সফল পরীক্ষা হয়। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি রকেট উৎক্ষেপণের খরচ 80% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারবে।
এই ইঞ্জিন বাতাসের অক্সিজেন ব্যবহার করে Hydrogen পোড়ায়, ফলে এটি কম জ্বালানিতে আরও বেশি গতি দেয়। 2016 সালে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়।
NavIC (Navigation with Indian Constellation) হল ভারতের নিজস্ব GPS। 7টি উপগ্রহ নিয়ে তৈরি এই সিস্টেম Google Maps ও Xiaomi, Lava, Realme-র মতো ফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আরও সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য।
ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত আগেভাগে জানায় এই উপগ্রহ। এতে থাকা Atmospheric Sounder আবহাওয়ার উঁচু-নিচু স্তরের তাপমাত্রা ও চাপ বিশ্লেষণ করে, যা কৃষি ও বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজে লাগে।
VYOM Mitra হল একটি মানবাকৃতি রোবট, যা কথা বলতে, শুনতে এবং পরিবেশ বুঝতে সক্ষম। ভবিষ্যতের Gaganyaan মিশনের জন্য প্রস্তুত এই রোবট।
মহাকশে যখন মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করা হয় তখন সবথেকে বেশি চিন্তা হয়, যারা যানের ভিতরে বসে থাকেন তাদের। তাই মহাকাশযাত্রার সময় দুর্ঘটনা ঘটলে, এই প্রযুক্তি ক্যাপসুলটিকে রকেট থেকে দ্রুত আলাদা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পারে। ২০২২ সালে এটি Gaganyaan ট্রায়ালে সফলভাবে পরীক্ষিত হয়।
HySIS (Hyper Spectral Imaging Satellite) মাটির রং দেখে বুঝতে পারে সেখানে কী ধাতু বা খনিজ রয়েছে। এটি কৃষি, খনি ও নগর পরিকল্পনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Mapping Camera 2 চাঁদের গর্ত, পাহাড় ও অন্ধকার দিকের ছবিকে 3D ম্যাপে রূপান্তর করেছে। এই ডেটা ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযানেও কাজে লাগবে।
মহাকাশে 30,000-এর বেশি গ্রহানু, অ্যাস্ট্রোরয়েড, রকেটের অবশিষ্টাংশ ঘুরছে। ISRO-র SSA এবং NETRA প্রযুক্তি এই সব বস্তু শনাক্ত করে সংঘর্ষ এড়ায়। এতে ভারতের প্রতিরক্ষা ও উপগ্রহ নিরাপদ থাকে।
Village Resource Centre (VRC)-এর মাধ্যমে ISRO গ্রামে পৌঁছে দিচ্ছে চিকিৎসা, শিক্ষা ও আবহাওয়ার খবর। এখন পর্যন্ত 400-রও বেশি VRC তৈরি হয়েছে।
ISRO শুধু উপগ্রহ পাঠাচ্ছে না, তারা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি গড়ে তুলছে—যার প্রভাব গ্রাম, শহর, কৃষি, প্রতিরক্ষা, এবং সাধারণ মানুষের জীবনেও পড়ছে। এই গবেষণাগুলোই একদিন আমাদের পৌঁছে দেবে Space Tourism-এর যুগে।
ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার উপর দিয়ে…
ভারতের স্মার্টফোন বাজারে নতুন উত্তেজনা নিয়ে এসেছে OnePlus। iPhone 16e ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। তবে এবার…
অবশেষে সেই প্রতীক্ষিত দিন এল। বহুদিনের অপেক্ষা আর সমালোচনার পর ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) পেতে…
Yamaha – নামটাই যথেষ্ট বাইকপ্রেমীদের হৃদয় কাঁপাতে। আর এবার সেই বিখ্যাত Japanese সংস্থা আনছে এমন…
মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মাত্র চার দিন চলা তীব্র সামরিক সংঘর্ষে ভারতীয় বায়ুসেনা…
ভারতের সবচেয়ে ধনী এবং প্রভাবশালী শিল্পপতিদের নাম উঠলেই সবার আগে মনে পড়ে Mukesh Ambani–র কথা।…
This website uses cookies.